দখিনের খবর ডেস্ক ॥ সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালীর বাউফলেও দেয়া হয়েছে সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন। কিন্তু সরকারের দেয়া সেই লকডাউনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে মিলিছে সাপ্তাহিক হাট। বাউফলের কালাইয়া ইউনিয়নে প্রতি সোমবারের মতো আজকেও ভীড় দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা অধিকাংশ মানুষ মানছে না কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। অনেকে পড়ে নাই মাস্ক, মানা হয় নাই কোন ধরনের সামাজিক দূরত্ব। এ চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে করোনাভাইরাসের মত কোন মহামারী হানা দিয়েছে। এছাড়াও এই ইউনিয়নে যানচলাচল ছিলো প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতই। তবে সাপ্তাহিক এই হাটের বিষয়ে এক ধরনের নিরব ভূমিকায় ছিলো প্রশাসন। কালাইয়া ইউনিয়ন বাজার রোডের বাসিন্দা শাওন খান বলেন, সকাল থেকে একজন প্রশাসনের লোকজনও দেখা যায় নাই। বরাবরের মত মানুষের ভীড় ছিলো চোখে দেখার মত। ৭-৮ কি.মি দূরবর্তী নওমালা ইউনিয়ন থেকে আসা আরিফ নামে একব্যক্তিকে লকডাউনে এতো দূরের হাটে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কেনা-কাটা করা উদ্যেশ্যে এসেছি। যানচলাচল বন্ধ তাহলে কিভাবে আসলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উলটো অভিযোগ করলেন, অটোযানে ভাড়া বেশি নেয়ার কথা। আল-আমিন নামের এক অটোযান চালককে লকডাউনে কেন বেড় হইছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘরে চাউল নাই গাড়ি না চালাইলে খামু কি বাচমু ক্যামনে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, হাট মেলার বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি আরো বলেন, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে মিটিং করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও কেন এমন হলো জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply